নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় সোমবার (২২ মার্চ) মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে পুলিশের একজন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) তিন জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৪০ বোতল ফেনসিডিল ও দুইটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া, পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে পুলিশ আসামীদের নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মিল্টন হোসের আদলতে হাজির করে অস্ত্র ও মাদকের দুইটি মামলায় সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে দুইটি মামলায় প্রত্যেকের দুইদিন করে চারদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো: আসাদুজ্জামান আসামিদের এই রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন এস আই কায়কোবাদ পাঠান ও তার দুই সহযোগী রবিন হোসেন ও সোহেল মিয়া।
র্যাব-৩ ব্যাটালিয়ানের সহকারি সুপার সুপার ও অপারেশন অফিসার ফারজানা হক জানান, চট্রগ্রাম থেকে মাদক নিয়ে এক ব্যবসায়ী ঢাকার দিকে আসছে এমন সংবাদ পেয়ে র্যাবের একটি টিম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোলপ্লাজায় অবস্থান নেয়। এ সময় সন্দেহভাজন একটি সাদা প্রাইভটেকার টোল প্লাজা অতিক্রম করার সময় থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। প্রাইভেট কারের পেছনের সিটে বসা ছিলেন কালাপাহাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির এস আই কায়কোবাদ ও তার সহযোগী রবিন হোসেন। প্রাইভেটকারটির চালকের আসনে ছিলেন সোহেল মিয়া। এ সময় প্রাইভেট কারের ভেতরে তল্লাশি করে ২শ’ ৪০ বোতল ফেনসিডিল ও এস আই কায়কোবাদের কাছ থেকে ২৫ রাইন্ড গুলিসহ দুইটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে র্যাবের টিআই মোকলেসুর রহমান বাদি হয়ে এস আই কায়কোবাদসহ তিনজনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সকালে ওই মামলায় সোনারগাঁও থানা পুলিশ তিন আসামীকে আদালতে প্রেরণ করেছেন।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, র্যাবের দায়ের করা মাদক ও অস্ত্র মামলায় পুলিশের এসআইসহ তিন আসামীকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করে আদলতে পাঠানো হয়েছে। আদলত তাদের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন